৭ নভেম্বরের চেতনায় বীর জনতা গর্জে উঠুনঃ ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান

গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এখনই আরেকটি মহাবিপ্লব অনিবার্য উল্লেখ করে জাগপা’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, ইতিহাসকে চাইলেই মুছে ফেলা যাবে না। ৭ নভেম্বরের ইতিহাস সিপাহী-জনতার এক মহান বিজয়ের ইতিহাস। সেইদিন লাখো জনতা দুঃশাসন-অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাকশালমুক্ত একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র নির্মাণের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসে।

তিনি বলেন, জালিমশাহীর মনে রাখা ভাল বাংলাদেশ রাষ্ট্র নির্মাণের ক্ষেত্রে মুজিব ও জিয়ার ইতিহাস এক অভিন্ন ইতিহাস। সুতরাং ৭ নভেম্বরের ইতিহাস মুছে ফেলা হলে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা হবে।

তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের পথ ধরেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার সূচনা হয়। সিপাহী-জনতার গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় ফিরে আসে। তিনি আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এত অকৃতজ্ঞ হলে চলে না। ৭ নভেম্বরের প্রেরণা ও শিক্ষা আপনাদের রাজনীতি করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। সুতরাং আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না। তাই আবারও বলছি ৭ নভেম্বরের গণবিপ্লব থেকে শিক্ষা নিন। গণতান্ত্রিকভাবে রাজনীতিক চর্চা করুন। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায়, চুড়ান্ত পতনের পূর্বাভাস ধেয়ে আসছে।

তিনি আজ আসাদগেট জিইউপি মিলনায়তনে জাগপা আয়োজিত ৭ নভেম্বরের চেতনা ও বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জাগপা’র কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি খন্দকার আবিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মোজাফফর মো. আনাছ, মাস্টার এম.এ মান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, মো. হাসমত উল্লাহ, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, শেখ জামাল উদ্দিন, বেলায়েত হোসেন মোড়ল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইনসান আলম আক্কাছ, দপ্তর সম্পাদক গোলাম মোস্তফা কামাল, যুব জাগপার কেন্দ্রীয় সভাপতি আরিফুল হক তুহিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ফারুকী, সহ সভাপতি শ্যামল চন্দ্র সরকার, গাজী ফকির প্রমুখ।

এদিকে সকাল ১০.৩০টায় শহীদ জিয়ার মাজারে জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।