শ্রমিকরা “মে দিবস” পেয়েছে, শ্রমের ন্যায্যমূল্য পায় নাই – ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান

জাগপা সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, মহান মে দিবস শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের চরম আত্মত্যাগে ন্যায্য অধিকার আদায়ের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস। ১৮৮৬ সালের পহেলা মে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমের ন্যায্যমূল্য ও দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন, সমাবেশে পুলিশের গুলি, নিহত, গ্রেফতার, ছয় শ্রমিককে ফাঁসি, কারাগারে বন্দি অবস্থায় এক শ্রমিকের আত্মহত্যাসহ নানাবিধ ঘটনার মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষ পেয়েছে আজকের এই “মে দিবস”। সেদিনের ইতিহাস প্রমাণ করেছিল লড়াই ছারা মেহনতি জনতার মুক্তি নাই। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় বাংলাদেশের মেহনতি শ্রমিকরা মে দিবস পেয়েছে কিন্তু শ্রমের ন্যায্যমূল্য আজও পায় নাই।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাগপা সভাপতি বলেন, আমার দেশের মেহনতি শ্রমিকরা কোনদিন তাদের ন্যায্যমূল্য পায় নাই, এমনকি আজকের এই ভয়াল করোনা ভাইরাসের মধ্যেও তাদের প্রাপ্য বেতনের জন্য পথে নেমে আসতে হয়। দেশের রপ্তানি খাতের শ্রমিকদের বেতন দিতে সরকার ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে অথচ বেতন না পেয়ে ক্ষুধার জ্বালায় রপ্তানি খাতের শ্রমিকরা আজ রাজপথে। দিন আনি দিন খাই শ্রমিকদের বেতনও নেই, এই করোনা ভাইরাসের চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সময় তাদের কি হবে? আমার দেশের মেহনতি শ্রমিকদের জন্য করোনা আতঙ্কের চেয়েও বড় আতঙ্কের নাম ক্ষুধা। মেহনতি শ্রমিকরা সরকারী ত্রাণ লুটপাট কারীদের চিনেনা, তারা প্রণোদনাও বুঝেনা। তারা শুধু অস্রুশিক্ত নয়নে উপলব্ধি করে তাদের ঘরে খাবার নাই। আমি সরকারকে বলতে চাই, মেহনতি শ্রমিকদের জন্য অবিলম্বে পর্যাপ্ত খাদ্যের ব্যবস্থা করুন অথবা নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে ত্রানের দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করুন। মনে রাখবেন আপনাদের দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মী দিয়ে বাংলাদেশ চলবেনা, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজন পরবে দেশের খেটে খাওয়া মানুষদের, দেশের মেহনতি শ্রমিকদের।

ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান আরও বলেন, রানা প্লাজা ট্রাজেডির ৭ বছর হয়ে গেল, বিচার হবে কবে? এই ৭ বছরেতো অন্য কোন দল ক্ষমতায় আসে নাই। কথায় কথায় বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতাকালীন সময়ের উদাহরণ দেওয়া মন্ত্রী-মিনিস্টাররা রানা প্লাজা ট্রাজেডি নিয়ে মন্তব্য করেনা কেন? আজকে এই মহান মে দিবসে, রানা প্লাজা সহ বিভিন্ন সময়ে দেশের জন্য আত্মত্যাগ করা সকল মেহনতি শ্রমিকদের আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।