তারেক রহমান’কে জাগপা’র অভিনন্দন, বিএনপির ২৭ দফা প্রস্তাব রাষ্ট্র নির্মাণের ঐতিহাসিক সনদ – ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা তারেক রহমানকে জাগপা পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে বর্তমান বিপর্যয়মূখী রাষ্ট্রকে নতুন সংস্কারে বিএনপি তথা তারেক রহমান কর্তৃক ২৭ দফা প্রস্তাবনা আগামীর রাষ্ট্র নির্মাণের ঐতিহাসিক সনদ হিসেবে জনগণ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বায়ন রূপে গড়ে তোলতে বিএনপির এই প্রস্তাবনা বিশ্ব প্রসংশনীয়। তবে প্রস্তাবিত দফা গুলো দেশের সর্বত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই ২৭ দফাই হবে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠার চাবি। আমরা আশা করি তারেক রহমানের হাতেই সূচনা হবে প্রতিহিংসা মুক্ত রাজনীতি। গড়ে উঠবে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। জনগণ ফিরে পাবে বাকস্বাধীনতা। মেধাবী বেকার তরুণরা পাবে কর্মসংস্থান। রাষ্ট্র হবে লুটপাট ও দুর্নীতি মুক্ত। শ্রমিকদের প্রতি কোন বৈষম্য থাকবে না। তাই সকল আশার আলো জালিয়ে তারেক রহমানই হবেন আগামীর রাষ্ট্রের প্রদীপ এবং স্বপ্নদ্রষ্টা।

তিনি বলেন, মরহুম শফিউল আলম প্রধান আমৃত্যু বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পক্ষে অর্থাৎ শহীদ জিয়া, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থেকেই সংগ্রাম করে গেছেন। আমরা বাবা-মাকে হারিয়ে এতিম হয়ে গেলেও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমাদের প্রেরণা এবং শক্তি। জাগপা এবং আমি বিশ্বাস করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী এবং তারেক রহমান আমাদের নেতা। রাষ্ট্র সংস্কারের আন্দোলনে জাগপা সব সময় বিএনপির নেতৃত্বে অতীতেও রাজপথে ছিলো, এখনো আছে, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবে।

তাসমিয়া প্রধান আরো বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে তারেক রহমানের প্রস্তাবনা সকল নারীর জন্য একটি মাইলফলক ইতিহাস ছাপিয়ে যাবে। নারীর প্রতি তারেক রহমান ও বিএনপির এই সম্মান রাষ্ট্রের সুশাসন ও সুখ-সমৃদ্ধি গঠনে বড় ভূমিকা রাখবে। সুতরাং নারীর জাগরণেই হবে রাষ্ট্রের আরেকটি মেরুদন্ড।

তিনি বলেন, এখন আমাদের ঘরে বসে থাকার সময় নয়, আমাদের সবাই কে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে রাজপথে নামতে হবে। ফ্যাসিবাদের কবল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার, জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। জালীম এবং জুলুমের হাত ভেঙে জনগণের সরকারের হাতে রাষ্ট্রকে তুলে দিতে হবে। অন্যথায় বাংলার আকাশে দূর্যোগের কালো রঙ ভেসে উঠতে পারে। দেশবাসী হুশিয়ার থাকবেন।

তিনি আজ বুধবার সকালে আসাদগেট জিইউপি মিলনায়তনে জাগপা আয়োজিত ২৪ ও ৩০ তারিখ ঘোষিত ১০ দফার আন্দোলনে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জাগপা’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু মোজাফফর মোঃ আনাছ, আসাদুর রহমান খান, নিজামুদ্দিন অমিত, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি ও রাজনৈতিক মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, সদস্য রিয়াজ রহমান, জাগপা ঢাকা মহানগর নেতা আশরাফুল ইসলাম হাসু, আসাদুজ্জামান বাবুল, যুব জাগপা’র সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. মোঃ সিরাজুল ইসলাম, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার প্রমূখ।