১২ দলীয় জোটের হরতাল পালন, গণগ্রেফতার ও গুলি চালিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে না – ১২ দলীয় জোট

গতকাল রবিবার শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও মহাসমাবেশে পুলিশী হামলার প্রতিবাদে জোটের ডাকা আহুত হরতালের সমর্থনে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের মোড় বিক্ষোভ মিছিল করে ১২ দলীয় জোট।

এসময় মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ১২ দলীয় জোটের শরীক ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, গণগ্রেফতার ও গুলি চালিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবেনা হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, এই অবৈধ ভোট চোর সরকার তাদের পুরানো খেলায় মেতে উঠেছে তাই গতকাল (২৮ অক্টোবর) শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে ১২ দলীয় জোট, বিএনপিসহ অন্যান্য সরকার বিরোধী দলের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, চলমান আন্দোলনের সকল অনাকাঙ্খিত ঘটার পিছনে সরকারের মদদ রয়েছে। তারা বিরোধী দল দমণে এখন মরিয়া হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে।

১২ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জাগপার সহসভাপতি ও রাজনৈতিক মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, অবৈধ জালীম শাহী আওয়ামী লীগ সরকারকে আর শেষ ইচ্ছা পূরণেরও সুযোগ দেওয়া হবেনা! তারা এখন খোয়াব ঘরেও বিএনপি, জামায়াত এবং ১২ দল আতংকে আছে। তবে আওয়ামী লীগের সময় এখন শেষ। এখন জনগণ তাদের পাওনা বুঝিয়ে নেবার তাগিদে রাজপথে নেমে এসেছে। আশা করি এই আন্দোলনে আমরা জনগণের পাওয়া মিটিয়ে দেবো এবং ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণ করবো।

এদিকে ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস’সহ গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গণগ্রেফতার ও বাসায় বাসায় পুলিশী তল্লাশি করে আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না। এই অবৈধ সরকার কে অবিলম্বে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার সহসভাপতি ও রাজনৈতিক মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক হোসেন, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন,বাংলাদেশ এলডিপির সহ সভাপতি চাষী এনামুল হক, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল সাকিব, জাতীয় পার্টির (জাফর) আ স ম শামীম প্রমূখ।