জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, বিএনপি ও ১২ দলীয় জোটসহ সরকার বিরোধী অন্যান্য জোটের যুগপৎ আন্দোলন এবার আওয়ামী লীগ জালীমশাহী সরকারের পতনের উৎসবে পরিণত হবে। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন দেখার জন্য শহর ও গ্রামের মানুষ আনন্দ উৎসব করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশ জুড়ে যখন গণতন্ত্রের পিপাসা লেগেছে তখন জনগণ ঘরে বসে থাকবে এটা ভাবা আওয়ামী লীগের জন্য চরম বোকামি হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের উচিত দেশের যুগপৎ আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়ে ও বিদেশীদের দাবী মেনে নিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। অন্যথায় অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আওয়ামী লীগ পালাবার পথ পাবে না।
জাগপার সভাপতি আরো বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পেলেন, শেখ হাসিনা নোবেল পেলেন না কেন? এই ক্ষোভ মেটাতে গিয়েই আজ দেশের গর্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসার শিকার। তিনি স্বাধীন দেশে বিচারহীনতায় ভূগছেন। মূলত এই সরকার বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের উচ্চ মর্যাদাকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে! আজ দেশের গুণীজনরাও অসম্মানিত বোধ করছেন।
তিনি যুব জাগপাসহ দেশের যুব সমাজকে আরেকটি নতুন “যুদ্ধের জওয়ান” আখ্যা দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের স্বাধীনতা আছে রক্ষা করো! গণতন্ত্র নেই যুদ্ধ করো! ভোটাধিকার নেই আদায় করো। তবেই জনগণের বিজয় ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর -২৩) সকালে আসাদগেট জিইউপি মিলনায়তনে যুব জাগপার ৩৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে “একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ও দেশের গণতান্ত্রিক সংকটে যুবকদের করণীয় শীর্ষক আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সাবেক ভিপি মুজিবুর রহমান, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ হাসমত উল্লাহ, সহসভাপতি ও রাজনৈতিক মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, ঢাকা মহানগর জাগপার সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম হাসু, মোঃ জিয়া উদ্দিন, যুব জাগপার কেন্দ্রীয় নেতা আশিক মোল্লা, আসাদুজ্জামান নূর, মোঃ দিদার উদ্দিন, বিলকিস আক্তার, মাহফুজা বেগম প্রমূখ।