মেজর এম এ জলিলের স্মরণ সভায় –  ‘জালীমশাহীর জিন্দানখানা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে’ – ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা’র) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, এখন জালীমশাহী সরকারের জিন্দানখানা থেকে দেশকে মুক্ত করার লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার এবং দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, দিনের ভোট রাতে করার ঘটনায় কূটনীতিকদের প্রচন্ড চাপ যখন গণভবনের দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে, তখন আওয়ামী লীগের জ্বলাতাঙ্ক শুরু হয়ে গেছে। তারা (আ’লীগ) এখন পালাবার রাস্তা খোঁজছে। তবে কথাবার্তা পরিষ্কার, এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

তাসমিয়া প্রধান মহান মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ইতিহাসকে খন্ডিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করছেন। তাদের (আ’লীগের) রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মেজর এম এ জলিলের অবদান মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মনে রাখা ভাল আপনাদের বানানো খন্ডিত ইতিহাস মেজর জলিলকে মুছে দিতে পারবে না। স্বাধীনতার ইতিহাস ধরেই মেজর জলিল চির বীর হয়ে থাকবেন।

তিনি আজ শুক্রবার (১৮ নভেম্বর-২০২২) সকালে জাগপা আয়োজিত মেজর এম এ জলিলের ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে “অরক্ষিত স্বাধীনতা মানেই পরাধীনতার ছায়া” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জাগপা’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজ রহমান, মোঃ সানি, যুব জাগপা’র সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. সিরাজুল ইসলাম, আক্তার হোসেন, জাগপা ছাত্রলীগের বেলাল হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন প্রমূখ।

জাগপা’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, জনগণ এবার শেখ হাসিনাকে প্রতিহত করবে। জনগণের উপর সরকারের জুলুম নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। দেশের মানুষের অবস্থা ভাল নয়। নিত্যপণ্যসহ সকল জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাই এই সরকার ব্যর্থ। তাদের এখনি পদত্যাগ করা উচিত।

এদিকে আগামীকাল ১৯ নভেম্বর (শনিবার) সকালে মিরপুরস্থ মেজর জলিলের কবরে জাগপা নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।