আজ ৬ এপ্রিল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি -জাগপা’র ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশবাসীসহ ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিক এবং প্রবাসীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে জাগপা’র সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, অগণিত লাশ আর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু জনগণের কাঙ্খিত স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি! আজ দেশের মানুষ ভাল নেই। ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির কারণে দেশের মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় ধুঁকে ধুঁকে মরছে। দেশের গণতন্ত্র নাই, মানবাধিকার নাই। কথা বললেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের হুমকি ও গ্রেফতার। এই অবৈধ শক্তিকে রুখতে হবে। সবাই রাজপথে নামতে হবে।
তিনি আজ (৬ এপ্রিল -২৩) বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ১৯৮০ সালের এইদিনে রমনার গ্রীণ হাউজে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা’র আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৭১ এর সদ্য স্বাধীনতা অর্জনের পর শাসকগোষ্ঠির দুর্নীতি-দুঃশাসন দেশকে একদলীয় বাকশালের পথে নিয়ে যেতে ষড়যন্ত্র শুরু করে। স্বাধীনতাকে শৃঙ্খলিত করতে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সেদিন জনগণের দাবির সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম শফিউল আলম প্রধান জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাকশাল ও দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জনগণকে সাথে নিয়ে জাগপা গঠন করেন এবং শফিউল আলম প্রধান জাগপা’র প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।
আজ ঐতিহ্য গৌরব ও সংগ্রামের ৪৩ বছরে পদার্পণ করে জাগপা’র সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, তবে মানতে হবে জাগপার ইতিহাস, ঐতিহ্য এক অভিন্ন রাজনৈতিক দল! পরাধীনতা ভেঙে স্বাধীনতাই জাগপা’র ইতিহাস। দুর্নীতির কালো শাসকের কাছে মাথা নত না করার ইতিহাস। কারার ঐ লৌহ কপাট ভেঙে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও গণতন্ত্রের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস।
তিনি বলেন, জাগপা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাকশাল জুলুমতন্ত্র ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। জাগপা’র ৪৩ বছরের ইতিহাস। ৭৪’র দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস ও পলাশবাড়ি দিবস, ৮২’র দহগ্রাম আঙ্গরপোতা লং মার্চ, ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ৯৫ এর দিনাজপুরে ইয়াসমিন হত্যা, টিপাইমুখ বাঁধ, ২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডি, ২০১১ সীমান্তে ফেলানী হত্যাসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জাগপা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তাসমিয়া প্রধান আরো বলেন, যে জাতি বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বাংলার স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে সে জাতিকে কেউ বাকশালের খাঁচায় বন্দী রাখতে পারবে না। প্রয়োজন হলে বীরের জাতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের নব্যবাকশাল ভেঙে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
তিনি জাগপা’র ৪৩ বছর প্রতিষ্ঠার এইদিনে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম শফিউল আলম প্রধানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, রাজনীতির ইতিহাসে শফিউল আলম প্রধান তার জীবনের অর্ধেকেরও বেশী সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। প্রতিটি সরকারের আমলে তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। ২৭ বার জেল খেটেছেন। বহুবার তাকে হত্যা করার জন্য দেশী-বিদেশী চক্রান্ত হয়েছিল। তবে শফিউল আলম প্রধান বিশ্বাস করতেন আল্লাহ যাদের প্রভু তাদের ভয় পাবার কিছু নেই।