দেশপ্রেমিক জনগণের ওপর গুলি ও জুলুম -নির্যাতন এবং বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিরোধী রাজনৈতিক দলের (বিএনপির) শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে সামনে রেখে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের উপর গতকাল আওয়ামী লীগের উসকানিতে পুলিশ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ন্যাক্কারজনক। তবে আওয়ামী লীগ আবারো ফ্যাসিবাদের পুরনোরূপ ধারণ করেছে। এই সরকার লাশ ও জুলুম-নির্যাতনের খেলায় মেতে উঠছে। তারা চিরস্থায়ী ক্ষমতা ধরে রাখতে মরণ কামড় দিয়ে জনগণের রক্ত চুষতে চায়। অবিলম্বে সরকারকে সংঘাতময় রাজনীতি থেকে ফিরে আসতে হবে। রাজনৈতিক দল গুলোকে গণতান্ত্রিক ভাবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের উপর হামলা-মামলা, গুলি বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় মজলুম জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জালীম সরকারকে বিদায় করবে।
তাসমিয়া প্রধান বলেন, জালীমশাহী (আ’লীগ) সরকার এখন কুল ভাঙ্গা নদীর কুলেই দাঁড়িয়ে আছে। এই সরকারের ধ্বসে পড়ার সময় ঘনিয়ে আসছে। এজন্যই বেঁচে থাকার আঁকুতি নিয়ে স্বশস্ত্র ভাবে বিএনপির নেতাকর্মী ও দলীয় অফিসে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, খায়রুল কবির খোকন, আমান উল্লাহ আমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল সহ সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবী করেন।
তিনি আজ বিকালে আসাদগেট জিইউপি মিলনায়তনে জাগপা আয়োজিত “গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপোষ নয়” রাজপথ হবে জনগণের অধিকার আদায়ের ঠিকানা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাগপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য রিয়াজ রহমান, যুব জাগপা’র সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা নেতা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক সানি, অমিত মানকিন, মোঃ ইউসুফ উদ্দিন, মোঃ আলমগীর, মুনসুর আলম প্রমূখ।