শফিউল আলম প্রধানের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান এর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের ২১ মে সকাল ০৭ টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন। শফিউল আলম প্রধানের জন্ম ১৯৪৯ সালের পহেলা জানুয়ারি পঞ্চগড়ে। তিনি তৎকালীন প্রাদেশিক পাকিস্তানের আইন পরিষদের স্পীকার এড. মৌলভী গমির উদ্দিন প্রধানের ৩য় ছেলে। ১৯৬৮ সালে শেখ বোরহানউদ্দিন কলেজের নির্বাচিত জিএস ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়া অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালের ৩০ মার্চ ছাত্রলীগের পক্ষে ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির তালিকা প্রকাশ করে গ্রেফতার হন। ১৯৭৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা গঠন করেন। এই জাগপার ব্যানারে তিনি দেশ মাটি ও মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন। দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি রাজপথে ছিলেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, তিস্তার পানি, টিপাইমুখে বাঁধের বিরোধিতা, সীমান্ত হত্যা সহ নানাবিধ ইস্যু নিয়ে বছরের পর বছর আন্দোলন করেছেন। এ জন্য প্রতিটি সরকারের শাসনামলেই তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাগপা’র বর্তমান সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, শফিউল আলম প্রধান সারাজীবন আধিপত্যবাদ ও গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে রাজপথে লড়াই করেছেন। তিনি গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে কোনদিন আপোস করেন নাই। আর তাই জীবনে ২৭ বার কারাবরণ করতে হয়েছে তাকে। কীর্তিমান মানুষরা কখনো মৃত্যুবরণ করেন না, তারা চির অমর হয়ে থাকেন। জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত মজলুম জননেতা মরহুম শফিউল আলম প্রধান সেরকমই একজন। আজকের এই দুর্দিনে তার মত বিদ্রোহী কণ্ঠস্বর জাতির জন্য বড়ই প্রয়োজন ছিল।

শফিউল আলম প্রধান এর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু মোজাফফর মোঃ আনাছ, নিজাম উদ্দিন অমিত, আসাদুর রহমান খান, মোঃ শামীম আক্তার পাইলট, জাগপা কেন্দ্রীয় কমিটি, জাগপা ছাত্রলীগ, যুব জাগপা, শ্রমিক জাগপা, মহিলা জাগপা, জাগপার সর্বস্তরের কমিটি ও প্রধান স্মৃতি পরিষদের নেতৃবৃন্দ।